গাড়ির মাটি পরে সড়কে কাঁদা, প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা




নাঈম ইসলাম তালতলী (বরগুনা)প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া এলাকায় ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন গাড়ির মাটি পড়ে সড়কে বৃষ্টির পানিতে কাদা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় লোকজন। কাদার কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলা দায়। পিছলে সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঘটছে নানা রকমের দুর্ঘটনা। লাউপাড়া থেকে তাঁতিপাড়া বাজারের মূল সড়কের ৫ কিলোমিটার  সড়কের  এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এই সড়ক দিয়ে দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে যাওয়া মোটরসাইকেল চালক রুবেল বলেন, প্রতিদিনের মতো লাউপাড়া থেকে তাতিপাড়া যাওয়ার সময় সড়কে পিচ্ছিল কাদার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে আমার পা ভেঙে গেছে, আমার সাথে আর একজন ছিল তিনিও গুরুতর আহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার সকালে সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় সাবেক মেম্বার মোঃ ইব্রাহিম  সড়কের পাশ থেকে বেকু দিয়ে  মাটি আনছেন। চলমান সেই বেকু ট্রাকগুলো চাকা থেকে মাটি পড়ছে সড়কে। লাউপাড়া ব্রিজ থেকে তাঁতিপাড়া গ্রামের সকে পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির পানিতে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে কাদার কারণে অনেক যানবাহন পিছলে নিচে নেমে যেতে দেখা গেছে।  সড়কে কাদায় একাকার হয়ে গেছে। কাদার কারণে যান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন মোটরসাইকেলচালকেরা। ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন।

সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বলেন,সড়কে মাটি পরে থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন এবছর আমি এখনো মাটি বিক্রয়ের কাজ শুরু করিনি তবে আমার মাটি বহন করা ট্রাকের চার পাশের ঢালা আটকানো থাকে সবসময়। কয়েকদিন আগে আমার বাড়ির পাশে জসিম বেকু দিয়ে মাটি কাটেন ওই মাটি সড়কে পরে হালকা  বৃষ্টি হওয়ায়  কাদা হয়েছে। 
 
মোটরসাইকেলচালক বেল্লাল হোসেন বলেন, কালকে রাতে ১১ঃ০০ টার দিকে একজন মোটরসাইকেল সড়কটির ওপর এত পরিমাণ কাদা যে, মোটরসাইকেল থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ারও অবস্থা নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা রহমান বলেন, সড়কটি দিয়ে মাটিবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কে মাটি পড়ে। বৃষ্টির পানিতে সেই মাটি যেন পুরো শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। হেঁটে চলা যায় না। বিষয়টিতে স্থানীয় প্রশাসন নজর না দিলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

আটোচালক'রা বলেন,  প্রধান সড়কের ওপর দুপুর পর্যন্ত কাদার আস্তর থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ বাচ্চু বলেন, আমি অনেক বার নিষেধ করেছি  সড়কে এভাবে মাটি ফালানো অন্যায়, এই কাজটি করা তার ঠিক হয়নি   আমি শুনে সকালে খুঁজতে গিয়েছিলাম কাউকে পাইনি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার  টুম্পা বলেন, এটি অন্যায় ভাবে ফেলেছে সত্যতা  প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়কে যে মাটি ফালিয়েছেন ওনার সরিয়ে নিতে হবে। 

   নাঈম ইসলাম 
 তালতলী,বরগুনা 
 ০১৭১৫৭০৮২২৪
ছবি

0/Post a Comment/Comments